এসো শিখি, এসো
চর্চা করি আর নিজের জীবনে বাস্তবে প্রয়োগ করি।
রবীন্দ্রনাথ
স্কুল পালিয়েছেন। নজরুল
তো বেশি পড়তেই পারলো
না। লালন
তো বুঝলই না স্কুল
কি। আজ
মানুষ তাঁদেরকে নিয়ে গবেষণা করে
পিএইচডি ডিগ্রী অর্জন করছে।
আন্ড্রু
কার্নেগীকে তো ময়লা পোশাকের
জন্য পার্কেই ঢুকতে দেয় নি। ৩০
বছর পরে
উনি সেই পার্কটি কিনে
ফেলেন আর সাইন বোর্ড
লাগিয়ে
দেন “সবার জন্য উন্মুক্ত”।
স্টিভ
জবস শুধু মাত্র ১
দিন ভাল খাবারের আশায়
৭ মাইল দূরে পায়ে
হেটে মন্দিরে যেতেন।
ভারতের
সংবিধান প্রণেতা আম্বেদকর নিম্ন বর্ণের হিন্দু
ছিলেন বলে স্কুলের বারান্দায়
বসে বসে ক্লাস করতেন। তাঁকে
ক্লাসের বেঞ্চে বসতে দেয়া
হতো না, কোন গাড়ি
তাঁকে নিতো না।
মাইলের পর মাইল হেঁটে
পরীক্ষা দিয়েছেন।
বাংলাদেশ
ব্যাংকের গভর্নর আতিউর রহমান
এর ক্যাডেট কলেজে ভর্তির টাকা
হাটুরেদের নিকট থেকে টাকা
তুলে যোগার করেছিলেন তার
চাচারা। গরু
না থাকায় তিনি নিজে
জমিতে লাঙ্গল টেনেছেন একসময়।
সুন্দর
চেহারার কথা ভাবছেন? শেখ
সাদী এর চেহারা যথেষ্ট
কদাকার ছিল, লতা মুঙ্গেস্কারের
চেহারা মোটেই সুশ্রী নয়। তৈমুর
লং খোঁড়া ছিলেন, নেপোলিয়ন
বেটে ছিলেন। শচীন
টেল্ডুলকারের উচ্চতা তো জানাই
আছে।
আব্রাহাম
লিঙ্কনের মুখ ও হাত
যথেষ্ট বড় ছিল।
স্মৃতি শক্তির কথা ভাবছেন?
আইনস্টাইন নিজের বাড়ীর ঠিকানা
ও ফোন নাম্বার মনে
রাখতে পারতেন না।
কিছুই
আপনার উন্নতির পিছনে বাঁধা হতে
পারে না।
যদি কোন কিছু বাঁধা
হয়ে দাঁড়ায় তবে তা আপনার
ভিতরের ভয়। ভয়কে
দূরে রেখে জয় করা
শিখুন। সাফল্য
আসবেই আজ অথবা কাল।
-সংগৃহিত