রসায়নের বিজ্ঞানের গুরুত্বপূর্ণ ৩০ টি সংজ্ঞা
১। পদার্থ
কাকে বলে?
উত্তরঃ
যার ভর আছে, যা
কোন স্থান দখল করে
অবস্থান করে এবং তার
স্থিতিশীল বা গতিশীল অবস্থার
পরিবর্তনে বাধা প্রদান করে
তাকে পদার্থ বলে।
২। প্রতীক
কাকে বলে?
উত্তরঃ
কোন মৌলের পূর্ণ নামের
সংক্ষিপ্ত রূপকে প্রতীক বলে।
৩। সংকেত
কাকে বলে?
উত্তরঃ
মৌলিক বা যৌগিক পদার্থের
অণু প্রতীকের সাহায্যে যেভাবে প্রকাশ করা
হয় তাকে সংকেত বা
আণবিক সংকেত বলে।
৪। গাঠনিক
সংকেত কাকে বলে?
উত্তরঃ
কোন পদার্থের অণুকে প্রতীকের সাহায্যে
রাসায়নিক বন্ধন দেখিয়ে যে
সংকেত তৈরি করা হয়
তাকে গাঠনিক সংকেত বলে।
৫। যোজনী
কাকে বলে?
উত্তরঃ
কোন মৌলের অন্য মৌলের
সঙ্গে যুক্ত হবার সামর্থকে
ঐ মৌলের যোজনী বলে।
৬। সক্রিয়
যোজনী কাকে বলে?
উত্তরঃ
কোন যৌগে মৌলের যে
যোজনী ব্যবহৃত হয় তাকে ঐ
মৌলের সক্রিয় যোজনী বলে।
৭। সুপ্ত
যোজনী কাকে বলে?
উত্তরঃ
মৌলের সর্বোচ্চ যোজনী থেকে সক্রিয়
যোজনী বাদ দিলে সুপ্ত
যোজনী পাওয়া যায়।
৮। পূর্ণ
যৌগ কাকে বলে?
উত্তরঃ
সর্বোচ্চ যোজনী দিয়ে যৌগ
গঠিত হলে তাকে পূর্ণ
যৌগ বলে।
৯। অপূর্ণ
যৌগ কাকে বলে?
উত্তরঃ
সর্বোচ্চ যোজনী ছাড়া অন্য
যোজনী দিয়ে যৌগ গঠিত
হলে তাকে অপূর্ণ যৌগ
বলে।
১০। মনোভ্যালেন্ট
মৌল কাকে বলে?
উত্তরঃ
যে সকল মৌলের যোজনী
এক (১) ঐ সকল
মৌলকে মনোভ্যালেন্ট মৌল বলে।
যেমনঃ পটাসিয়াম।
১১। ডাইভ্যালেন্ট
মৌল কাকে বলে?
উত্তরঃ
যে সকল মৌলের যোজনী
দুই (২) ঐ সকল
মৌলকে ডাইভ্যালেন্ট মৌল বলে।
যেমনঃ অক্সিজেন।
১২। ট্রাইভ্যালেন্ট
মৌল কাকে বলে?
উত্তরঃ
যে সকল মৌলের যোজনী
তিন (৩) ঐ সকল
মৌলকে ট্রাইভ্যালেন্ট মৌল বলে।
যেমনঃ অ্যালুমিনিয়াম।
১২। রাসায়নিক
ক্রিয়া কাহাকে বলে?
উত্তরঃ
একটি মৌলের বা যৌগিক
পদার্থের রাসায়নিক পরিবর্তনের ফলে এক বা
একাধিক নতুন পদার্থের সৃষ্টির
প্রক্রিয়াকে রাসায়নিক ক্রিয়া বলে।
১৩। রাসায়নিক
আসক্তি কাকে বলে?
উত্তরঃ
বিভিন্ন মৌলের মধ্যে একে
অন্যের সঙ্গে যুক্ত হইবার
প্রবনতাই হল রাসায়নিক আসক্তি।
১৪। পরমাণু
কি?
উত্তরঃ
মৌলের পদার্থের ক্ষুদ্রতম কণা যার স্বাধীন
অস্তিত্ব নেই কিন্তু ক্ষুদ্রতম
একক হিসেবে রাসায়নিক বিক্রিয়ায়
অংশগ্রহণ করে তাকে পরমাণু
বলে।
১৫। মূল
কণিকা কাকে বলে?
উত্তরঃ
যে সকল অতিশয় ক্ষুদ্র
কণিকা দ্বারা পরমাণু গঠিত
তাদেরকে পরমাণুর মূল কণিকা বলে।
১৬। স্থায়ী
মূল কণিকা কাকে বলে?
উত্তরঃ
কতগুলো মূল কণিকা আছে
যা সব পরমাণুতেই থাকে
তাদেরকে স্থায়ী মূল কণিকা
বলে।
১৭। অস্থায়ী
মূল কণিকা কাকে বলে?
উত্তরঃ
কতগুলো মূল কণিকা আছে
যা কোন কোন মৌলের
পরমাণুতে খুবই অল্প সময়ের
জন্য থাকে এদেরকে অস্থায়ী
মূল কণিকা বলে।
১৮। কম্পজিট
কণিকা কাকে বলে?
উত্তরঃ
স্থায়ী ও অস্থায়ী মূল
কণিকা ছাড়াও আরও এক
ধরণের ভারী কণিকা দেখা
যায় এদেরকে কম্পোজিট কণিকা
বলে।
১৯। নিউক্লিয়ার
শক্তি কি?
উত্তরঃ
পরমাণুর নিউক্লিয়াসে প্রোটন ও নিউট্রন
যে শক্তির সাহায্যে যুক্ত
থাকে তাকে নিউক্লিয়ার শক্তি
বলে।
২০। পারমানবিক
সংখ্যা কি?
উত্তরঃ
কোন মৌলের পরমাণুর নিউক্লিয়াসে
উপস্থিত ধনাত্মক চার্জ তথা প্রোটনের
সংখ্যাকে ঐ মৌলের পারমানবিক
সংখ্যা বা পরমাণু ক্রমাংক
বলে।
২১। পারমাণবিক
ভর সংখ্যা কি?
উত্তরঃ
পরমাণুর সম্পূর্ণ ভর নিউক্লিয়াসে পুঞ্জীভূত। কোন
মৌলের পরমাণুর প্রোটন ও নিউট্রন
সংখ্যাকে ঐ মৌলের ভর
সংখ্যা বলে।
২২। নিউক্লিয়ন
সংখ্যা কি?
উত্তরঃ
কোন মৌলের পরমাণুর নিউক্লিয়াসে
বিদ্যমান প্রোটন ও নিউট্রনের
মোট সংখ্যাকে ঐ মৌলের নিউক্লিয়ন
সংখ্যা বলে।
২৩। আইসোটোপ
কাকে বলে?
উত্তরঃ
কোন মৌলের এক জাতীয়
একাধিক পরমাণু যাতে পারমানবিক
সংখ্যা বা প্রোটন সংখ্যা
একই কিন্তু ভর সংখ্যা
ভিন্ন তাদেরকে পরস্পর আইসোটোপ বলে।
২৪। আইসোবার
কাকে বলে?
উত্তরঃ
যে সব পরমাণুর ভর
সংখ্যা বা নিউক্লিয়ন সংখ্যা
একই কিন্তু পারমানবিক সংখ্যা
ভিন্ন তাদেরকে আইসোবার বলে।
২৫। আইসোটন
কাকে বলে?
উত্তরঃ
যে সব পরমাণুর নিউট্রন
সংখ্যা সমান কিন্তু পারমানবিক
সংখ্যা ও ভর সংখ্যা
ভিন্ন তাদেরকে পরস্পর আইসোটোন বলে।
২৬। কোয়ান্টাম
সংখ্যা কাহাকে বলে?
উত্তরঃ
পরমাণুতে অবস্থিত ইলেকট্রনের শক্তিস্তরের আকার, আকৃতি, শক্তিস্তরের
বিন্যাস প্রকরণ এবং নিজ
অক্ষের চতুর্দিকে আবর্তনের দিক প্রকাশক সংখ্যাসমূহকে
কোয়ান্টাম সংখ্যা বলে।
২৭। যোজ্যতা
ইলেকট্রন কি?
উত্তরঃ
পরমাণুর সর্ববহিঃস্থ স্তরের ইলেকট্রন পরমাণুর
যোজ্যতা নির্দেশ করে। এ
জন্যই কোন মৌলের পরমাণুর
সর্ববহিঃস্থ স্তরের ইলেকট্রন তার
যোজ্যতা ইলেকট্রন বলা হয়।
২৮। এসিডের
সঙ্গা দাও।
উত্তরঃ
যে যৌগের অণুতে প্রতিস্থাপনীয়
হাইড্রোজেন থাকে এবং ঐ
প্রতিস্থাপনীয় হাইড্রোজনকে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে ধাতু
বা ধাতুর ন্যায় ক্রিয়াশীলমূলক
দ্বারা আংশিক বা পূর্ণভাবে
প্রতিস্থাপিত করে লবণ উৎপন্ন
করা যায় তাকে এসিড
বলে।
২৯। হাইড্রাসিড
কাকে বলে?
উত্তরঃ
যে এসিডের অণুতে হাইড্রোজেন
ও অন্য অধাতব মৌল
থাকে কিন্তু অক্সিজেন থাকে
না তাকে হাইড্রাসিড বলে।
৩০। অক্সি
এসিড কাকে বলে?
উত্তরঃ
যে এসিডের হাইড্রোজেনের সাথে
অক্সিজেন ও অন্য এক
বা একাধিক অধাতব মৌল
থাকে উহাকে অক্সি-এসিড
বলে।
