কলা অন্যান্য ফলের তুলনায় দামে সস্তা হলেও পুষ্টিগুণের দিক দিয়ে মোটেও
পিছিয়ে নেই। বরং অধিক পটাশিয়ামযুক্ত বলে রক্তচাপ ও হৃদরোগের রোগীদের জন্য
খুবই উপকারী একটি ফল। কলা খেয়ে কলার খোসাটা আমরা ফেলে দিলেও এই ফেলনা
জিনিসটি কিন্তু কাজে লাগে অনেক। জেনে নিন পাকা এবং কাঁচা কলার খোসার অভিনব
কিছু ব্যবহার-
১. ব্রণ দূর করতে:-
ছোট ছোট ব্রণকে তাতক্ষণিকভাবে দূর করতে চান ? তাহলে সাহায্য করবে কলার খোসা। কলার খোসার ভেতরের অংশটি দিয়ে ব্রণের ওপর ঘষতে থাকুন।কিছুক্ষণ পর দেখবেন ব্রণ কোথায় মিলিয়ে গেছে।
২.মশা বা পোকামাকড়ের কামড়:-
মশা বা পোকা মাকড়ের কামড়ের ফলে ত্বকে এক ধরনে জ্বলুনি বা চুলকানি হয়। এই
জ্বলুনি বা চুলকানি থেকে তাতক্ষণিক রক্ষা পেতে চাইলে কলার খোসার ভেতরের
দিকটা আক্রান্ত স্থানে ঘষুন। দেখবেন জ্বলুনি বা চুলকানি একদমই কমে গিয়েছে।
৩. খাবার হিসেবে:-
কাঁচা কলা খাওয়া হয় সবজি হিসেবে। এর ফেলা দেয়া খোসাও খাওয়া যায় খাবার
হিসেবে। কাঁচা কলার খোসার ওপরের আঁশ ফেলে দিয়ে কুচি করে নিন। এরপর এটা
ভাঁপিয়ে নিন। এর সাথে শুকনো মরিচ ভাজা, পেঁয়াজ, রসুন ও সরিষার তেল দিয়ে
বেটে নিন। হয়ে গেল চমৎকার ভর্তা। চাইলে এর সাথে ছোট চিংড়ি মাছও যোগ করতে
পারেন।
৪. দাঁত সাদা করতে:-
ঘরোয়া উপায়ে দাঁত সাদা করতে চাইলে ব্যবহার করতে পারেন কলার খোসা। কলার
খোসার ভেতরের দিকটা দাঁতে ঘষতে থাকুন ২ মিনিট ধরে। এরপর ৫ মিনিট অপেক্ষা
করুন। এরপর আপনার নিয়মিত টুথপেস্ট দিয়ে দাঁত মেজে ফেলুন। মাত্র ৭ দিনেই
দাঁত হয়ে উঠবে ঝকঝকে সাদা।
৫. জুতা চকচকে করে তুলতে:-
হাতের কাছে শু পলিশ নেই অথচ চকচকে করে তুলতে হবে জুতা। শু পলিশের পরিবর্তে
ব্যবহার করতে পারেন কলার খোসা। প্রথমে জুতায় ময়লা লেগে থাকলে তা পরিষ্কার
করে নিন। এবার পাকা কলার খোসার ভেতরের অংশটা দিয়ে জুতা ওপরে ঘষুন অন্তত ৫
মিনিট। নিজেই দেখবেন যে চকচকে হয়ে উঠতে শুরু করেছে জুতা। এবার একটি পাতলা
পরিষ্কার কাপড় দিয়ে জুতা জোড়া ভালো করে মুছে নিন।
৬. আঁচিল দূর করতে:-
অনেকেই শরীরে অতিরিক্ত আঁচিল নিয়ে অনেক বিব্রত থাকেন। কলার খোসা এই আঁচিল
দূর করতেও সাহায্য করতে পারে। কলার খোসার ভেতরের অংশ আঁচিলের ওপর রাখুন।
নিয়মিত ব্যবহারে আঁচিল শুকিয়ে পড়ে যাবে। তবে ৭ দিনের মধ্যে এ পদ্ধতিতে
আঁচিল পড়ে না গেলে ডাক্তারের শরণাপন্ন হওয়া উচিত।
৭. সিডি বা ডিভিডির স্ক্র্যাচ দূর করতে:-
সিডি বা ডিভিডিতে কিছুদিনের মধ্যেই স্ক্র্যাচ পড়ে নষ্ট হয়ে যায়। এতে সিডি
চলতে চায় না, ডিভিডির ভিডিও আটকে আটকে যায়। এ সমস্যা সমাধান করতে পারে কলার
খোসা। কলার খোসার ভেতরের অংশটি দিয়ে সিডি বা ডিভিডিটি ভালো করে ঘষে নিন।
দেখবেন স্ক্র্যাচ একেবারেই চলে গিয়েছে। এবং সিডি বা ডিভিডিও চলবে আগের
মতোই।
Subscribe to:
Post Comments (Atom)